বাংলায় রঙ্গন নামের এই ফুলটির অন্যান্য নাম : রুক্সিনী, বন্ধুক, রক্তক ইত্যাদি। ইংরেজি ভাষায় এর নাম : Burning love, Jungle flame, Jungle geranium, West Indian jasmine, Flame of the woods etc. Rubiaceae পরিবারভুক্ত এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Ixora coccinia.
রঙ্গন ফুলের সৌন্দর্য মানুষকে সহযেই আকৃষ্ট করে। আমাদের দেশে সাধারণত লাল রঙের বেশি দেখা গেলেও হলুদ, সাদা, সোনালি, গোলাপি প্রভৃতি রঙেরও রঙ্গন রয়েছে। সাদা রঙের রঙ্গন বেশ সুগন্ধযুক্ত। এর আদি নিবাস সিঙ্গাপুর। ফুটন্ত রঙ্গন ফুল দীর্ঘদিন ধরে শোভা বর্ধন করে। রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে থোকা থোকা ফুল ফোটে। কিন্তু কোন কোন জাতের রঙ্গন বসন্তেও ফোটে। অন্যান্য ঋতুতে সে তুলনায় কম ফোটে।
প্রায় প্রতি শাখার অগ্রভাগে থোকা থোকা ফুল ফোটে, থোকায় থাকে অসংখ্য পুষ্প মঞ্জুরি। রঙ্গন গাছে ফুল ফোটার আগে অসংখ্য ঊর্ধ্বমুখী মঞ্জুরি দেখতে পাওয়া যায়। মঞ্জুরি ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হয়ে তারকা খচিত থোকা ফুলে পরিণত হয়। ফুটন্ত রঙ্গন ফুলের সৌন্দর্য অনেক দিন স্থায়ী থাকে। লাল রঙের মঞ্জুরির মধ্যে হঠাৎ কিছু কিছু সোনালি বা ঘিয়ে রঙের মঞ্জুরির মিশ্রণ লক্ষ্যণীয়। প্রতি মঞ্জুরিতে পাপড়ি সংখ্যা চারটি।
রঙ্গন গাছের কান্ড ও শাখা প্রশাখা বেশ শক্ত। প্রায় সব ধরনের মাটিতে রঙ্গন ফুল গাছ জন্মে। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। এ গাছের পরিচর্যা তেমন লাগে না। পানিও তুলনামুলক অনেক কম লাগে। যারা ছাদ বাগান করেন তারাও ছাদে দুই একটা রঙ্গন গাছের টব রাখতে পারেন। এতে ছাদের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। এর চাষ পদ্ধতিও সহজ। ফুল ফোটা শেষ হয়ে গেলে রঙ্গন গাছ ছেটে দেওয়া ভালো।
রঙ্গনের ফল থেকে চারা জন্মানো যায়। আবার পরিণত গাছের ডাল নিচ থেকে কেটে মাটিতে রোপণ করে নিয়মিত পানি দিয়ে পরিচর্যা করলে কয়েকদিন পরই মূল গজায়। জোড়া কলম করেও রঙ্গনের বংশবিস্তার করা যায়। বাগানে কিংবা টবে এর চাষাবাদ করা যায়।
মো.আলী আশরাফ খান
রঙ্গন
Reviewed by রেজওয়ান
on
12:01 AM
Rating:
খুব সুন্দর লাগলো আপনার লেখা।
ReplyDelete