কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার ও অসমের গোয়ালপাড়া এলাকার মানুষের কাছে নাপা শাক দারুণ প্রিয়। তবে বাংলাদেশে এই শাক একমাত্র ‘বাহের দ্যাশে’র ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উত্তরাঞ্চলে লাফা বা নাপা এই নামেই শাকটি পরিচিতি। কৃষকেরা জানান,অতি দ্রুত প্রায় লাফিয়ে শাকটি বড় হয় তাই একে লাফা শাক বলা হয়। এলাকাভেদে নামের পরিবর্তন হতে পারে।
এই শাকের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ম্যালোভা পারভিফ্লোরা(Malva Parviflora). ইংরেজি নাম Mallow (ম্যালো পাতা).
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, নাপা শাকের অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। এছাড়াও বাড়ির পাশে অল্প জমিতে বীজ ফেলে জৈব সার দিয়ে এই শাক ফলানো যায়। এতে কৃষকের তেমন বড় ধরনের খরচ হয় না। সেচ, নিড়ানি দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। উত্তরাঞ্চলের বাজরে চাহিদাও যথেষ্ট। এটি শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। এই শাক ভাজি, রান্না দুইভাবেই খাওয়া যায়।
শাকটি কিছুটা পাট শাকের মতো, পিচ্ছল ধরণের। পাট শাকের মতো ভাজি বা ঝোল করে খাওয়া যায়। বিশেষ করে শীতের সকালে লাফা শাকের ঝোল আর নতুন আলুর ভর্তার স্বাদ লোভনীয়।
No comments: