কলা

কলার পুষ্টি গুণ বিবেচনা করে এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ফ্রুট অব দ্যা ওয়াইজ’ অর্থাৎ ‘জ্ঞানের ফল’। কলাতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি৬, সি, ডি, ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পটাশিয়াম আমাদের মাংশপেশী তৈরীতে ও প্রোটিন সংশ্লেষণে সহায়তা করে। এটি আমাদের মাংশপেশী সংকোচনে প্রয়োজনীয় স্নায়ু উদ্দিপনাকে আরো গতিশীল করে তোলে। কলাতে বিদ্যমান পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়। কলা শুধু একটি পুষ্টিকর ফলই নয়, খাদ্যের পরিপূরক হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে।
কলাতে রয়েছে সুক্রোজ, ফ্রকটোজ ও গ্লুকোজের মতো তিনটি প্রাকৃতিক শর্করা যা আমাদের তাৎক্ষনিক শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

নদীর পানিতে মিশে থাকা বিষাক্ত সিসাসহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ বা যে কোনো ধরনের দূষিত পানি পরিশুদ্ধ করতে পারে কলার খোসা। পানিতে দ্রবীভূত ভারী ধাতব পদার্থ সরিয়ে সেই পানি ব্যবহার উপযোগী করে তোলে স্রেফ কলার খোসাই। খবর গিজম্যাগের।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কলার খোসা বিভিন্ন কাজেই লাগতে পারে। এটি ত্বকের জন্য যেমন উপকারি, তেমনি জুতা পরিষ্কারসহ এই কলার খোসা ব্যবহার করে কাগজ পর্যন্ত তৈরি করা যায়। তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা কলার খোসার সবচেয়ে উপযোগী কাজ করার ক্ষমতাটিই উদ্ভাবন করেছেন। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার কেমিক্যাল সোসাইটি সাময়িকীতে। ব্রাজিলের 'ইনস্টিটিউটো দো বায়োসিনসিয়াস দো বটুক্যাটু'র গবেষকরা জানিয়েছেন, পানি পরিষ্কার করার অনেক পদ্ধতি থাকলেও এই পদ্ধতিটি যেমন সহজ তেমনি খরচও কম। এই পদ্ধতিতে পানি থেকে খুব সহজেই তামা ও সিসা সরিয়ে ফেলা যায়। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, কলার খোসা পানি পরিষ্কার করতে টানা ১১ বারেরও বেশি ব্যবহার করা যায়। এতবার ব্যবহারেও এর পরিষ্কারক ক্ষমতা কমে না।



সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নদীর পানিসহ শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পানি পরিষ্কার করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যাবে। তবে বাড়িতে এই পদ্ধতিতে পানি শুদ্ধ করে না খেতেই পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
কলা কলা Reviewed by রেজওয়ান on 4:43 PM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.