গরমে ফলের দোকানের পাশাপাশি রাস্তার দু'পাশেও ডাব বিক্রির অনেক অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে। সহজলভ্য এ ফলটি গরমে হয়ে উঠতে পারে আমাদের পরম উপকারী বন্ধু। ডাবের রয়েছে অনেক গুণ। ২৪০ গ্রাম (১ কাপ) ডাবের পানিতে ক্যালরি রয়েছে ৪৬ গ্রাম, টোটাল ফ্যাট ০.৫ গ্রাম, কোলেস্টেরল অতি সামান্য এবং কার্বোহাইড্রেট ৮.৯ গ্রাম। ডাবের পানিতে রয়েছে পরিমিত মাত্রার পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। ডাবের পানিতে মাত্র ৫ গ্রাম সুগার রয়েছে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ব্লাড সার্কুলেশনে ডাবের পানি অত্যন্ত উপকারী। ডাবের পানিতে রয়েছে ক্লোরাইড, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ডাবের পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাবার হজম করাতেও ডাবের পানির জুড়ি নেই। প্রতিদিনের ব্যায়ামের পর পান করতে পারেন ডাবের পানি, যা আপনার বডি ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখবে। ডাবের পানিতে রয়েছে ফলিক এসিড, লরিক এসিডের উপাদানগুলো দেহে ইমিউন সিস্টেম গড়ে তুলতে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভধারণকালে ডাবের পানি অত্যন্ত উপকারী পানীয়। এ ছাড়াও গর্ভবতী মহিলাদের কনস্টিপেশন, হার্ট বার্ন, হজমের সমস্যাসহ অনেক ছোটখাটো সমস্যার সহজ সমাধান দিতে পারে ডাবের পানি। যে কোনো সময়েই পথ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ডাবের পানি। এটি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে, ফ্রি র্যাডিক্যালস কমাতে পারে, চোখের ফ্লুইড প্রেসার কমিয়ে ডাবের পানি গ্গ্নুকোমা প্রতিরোধেও সাহায্য করে। শুধু ডাবের পানি নয়, ডাবের শাঁসেরও রয়েছে অনেক গুণ। ডাবের শাঁস বদহজম, কোলাইটিস, গ্যাসট্রিক, আলসার, ডিসেন্ট্রি, পাইলস প্রভৃতি সমস্যায় অনেক উপকারী। রূপচর্চায় ডাবের পানির ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। ঘামাচি, র্যাশ, পক্স ইত্যাদি সমস্যায় ডাবের পানি লাগাতে পারেন। সমস্যা অনেক কমে যাবে। ডাবের পানি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই বাজারে কেনা পানীয় দূরে রেখে আজই বেছে নিন প্রাকৃতিক এ পানীয়।
লেখা : ময়ুখ মাধুরী মাধুর্য
ডাব
Reviewed by রেজওয়ান
on
11:07 PM
Rating:
No comments: