বাংলা প্রবচনের ‘হাইকোর্ট দেখানো’ কোনো সুখকর আয়োজন নয়। তবে ঢাকার হাইকোর্টের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে মানুষ যাচ্ছে দর্শনীয় নিদর্শন দেখতে। এর একটি দক্ষিণ প্রান্তবর্তী মাজার শরিফ। সেখানে প্রতিদিনই বহু ভক্ত-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে থাকে। বিনয়-ভক্তি নিয়ে তাঁরা সেখানে সমবেত হন। অন্যটি নয়ন মনোহর। মাজার পেরিয়ে খানিকটা এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে ভবন সম্মুখে। সেটি মৌসুমি ফুল গাছ। পাতা তেমন নেই। সারা গাছজুড়ে কেবল ফুল আর ফুল। কোমল গোলাপির মধ্যে সফেদ আভাস। সরু শাখাগুলো ফুলে ফুলে আচ্ছাদিত। ডগায় একগুচ্ছ কচিপাতার সবুজ ছোপ। এর স্নিগ্ধ লাবণ্য থেকে চোখ সরানো যায় না সহজে।
নাম কেশিয়া নডোজা। মধ্যম আকারের গাছ। আদি নিবাস মিয়ানমার, মলয়, আসাম, সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা জানিয়েছেন, ‘গাছটি আমাদের দেশি, অথচ এর কোনো বাংলা নাম নেই।’ হাইকোর্ট ছাড়াও কেশিয়া নডোজা আছে রমনা উদ্যানে। কৃষ্ণচূড়া গাছের সঙ্গে নডোজার মিল আছে যথেষ্ট। তবে কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে ডালপালা বেশ ছড়িয়ে যায়। বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শাখাগুলো প্রায় মাটির কাছাকাছি পর্যন্ত নুয়ে পড়ে। ছায়াও হয় নিবিড়। শাখা কৃষ্ণচূড়ার মতো ভঙ্গুরও নয়। পাতা একপক্ষল, যৌগিক। কাণ্ড তেমন লম্বা হয় না। বর্ণ ধূসর এবং গাঁটযুক্ত। ফাল্গুনের শুরুতেই পাতা ঝরতে থাকে। সরু রিক্ত শাখাগুলো তখন দেখায় মরা কাঠির মতো। তবে সেই হতশ্রী দশা অবশ্য তেমন দীর্ঘ স্থায়িত্ব পায় না। বসন্তের শেষভাগ থেকেই দেখা দেয় মঞ্জরি। দিনে দিনে নয়নাভিরাম ফুলে ফুলে শাখাগুলো ভরে ওঠে। তখন তার এই অপার ঐশ্বর্যের ধারে-কাছে আর কেউ থাকে না। ফুল থাকেও বেশ অনেকটা সময়, প্রায় বর্ষার মাঝামাঝি পর্যন্ত। নডোজার ফুল মৃদু সুরভিময়। মধুর লোভে সারা দিন গুনগুনিয়ে বেড়ায় মৌমাছির ঝাঁক।
নডোজার ফল লম্বা। দেখতে সোনালু ফলের মতো, লোকমুখে যার নাম বান্দর লাঠি। বীজ থেকে সহজেই চারা গজায়। গাছ শক্তপোক্ত বলে ঝড়ঝাপটায় সহজে ভাঙে না। চোখ জুড়ানো গাছটি বাড়ির আঙিনায় রোপণের জন্য আদর্শ। বাড়ির শোভাও খুলে যাবে তাতে।
-আশীষ-উর-রহমান
নাম কেশিয়া নডোজা। মধ্যম আকারের গাছ। আদি নিবাস মিয়ানমার, মলয়, আসাম, সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা জানিয়েছেন, ‘গাছটি আমাদের দেশি, অথচ এর কোনো বাংলা নাম নেই।’ হাইকোর্ট ছাড়াও কেশিয়া নডোজা আছে রমনা উদ্যানে। কৃষ্ণচূড়া গাছের সঙ্গে নডোজার মিল আছে যথেষ্ট। তবে কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে ডালপালা বেশ ছড়িয়ে যায়। বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শাখাগুলো প্রায় মাটির কাছাকাছি পর্যন্ত নুয়ে পড়ে। ছায়াও হয় নিবিড়। শাখা কৃষ্ণচূড়ার মতো ভঙ্গুরও নয়। পাতা একপক্ষল, যৌগিক। কাণ্ড তেমন লম্বা হয় না। বর্ণ ধূসর এবং গাঁটযুক্ত। ফাল্গুনের শুরুতেই পাতা ঝরতে থাকে। সরু রিক্ত শাখাগুলো তখন দেখায় মরা কাঠির মতো। তবে সেই হতশ্রী দশা অবশ্য তেমন দীর্ঘ স্থায়িত্ব পায় না। বসন্তের শেষভাগ থেকেই দেখা দেয় মঞ্জরি। দিনে দিনে নয়নাভিরাম ফুলে ফুলে শাখাগুলো ভরে ওঠে। তখন তার এই অপার ঐশ্বর্যের ধারে-কাছে আর কেউ থাকে না। ফুল থাকেও বেশ অনেকটা সময়, প্রায় বর্ষার মাঝামাঝি পর্যন্ত। নডোজার ফুল মৃদু সুরভিময়। মধুর লোভে সারা দিন গুনগুনিয়ে বেড়ায় মৌমাছির ঝাঁক।
নডোজার ফল লম্বা। দেখতে সোনালু ফলের মতো, লোকমুখে যার নাম বান্দর লাঠি। বীজ থেকে সহজেই চারা গজায়। গাছ শক্তপোক্ত বলে ঝড়ঝাপটায় সহজে ভাঙে না। চোখ জুড়ানো গাছটি বাড়ির আঙিনায় রোপণের জন্য আদর্শ। বাড়ির শোভাও খুলে যাবে তাতে।
-আশীষ-উর-রহমান
কেশিয়া নডোজা
Reviewed by রেজওয়ান
on
8:37 AM
Rating:
No comments: