নীল রংয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে এই নীল গাছ। যদিও বর্তমানে বেশীরভাগ নীল রঙই সিনথেটিক, কিন্তু এখন্ও উদ্ভিদজাত বিশুদ্ধ নীল বাজারে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক ভাবে নীল এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অংশে জন্মে, কিন্তু সারা বিশের অনেক দেশেই নীল চাষ করা হয়।
নীল উদ্ভিদ মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। গাছটি ১-২ মিটার লম্বা হয়। একবর্ষজীবী, দ্বিবর্ষজীবী বা বহুবর্ষজীবী হতে পারে, এটা নির্ভর করে আবহাওয়া ও জন্মানোর স্থানের উপর।
এর পাতাগুলো হালকা থেকে গাঢ় সবুজ এবং ফুল গুলো পিংক রঙের, জম্মে গুচ্ছে-গুচ্ছে।
একটি নীল ক্ষেত
নীল রং সংগ্রহ করা হয় পাতাগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে। প্রথমে পাতা সংগ্রহ করে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এরপর ঐ পানিতেই পাতাগুলোকে গাঁজানো হয়। গাঁজন শেষে পাতা ও পানিকে ছেঁকে আলাদা করে পানি শুকিয়ে নীলের কেক পাওয়া যায়, পরবর্তীতে কেক গুড়ো করে পাউডার করেই কাঙ্খিত নীল রং পাওয়া যায়।
ইতিহাস বিখ্যাত কয়েকটি নীল বিদ্রোহের কাল নিম্নরূপ:
১। বীর তিতুমীরের নেতৃত্বে ১৮২৩ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
২। ১৮৪০ সাল থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত দুদুমিয়ার নেতৃত্বে নীলকরদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ।
৩। ১৮৫৯ সাল থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে বাংলার সর্বত্র প্রজাসাধারনের নেতৃত্বে ব্যাপক নীল বিদ্রোহ।
৪। ১৮৮৯ সালের মাগুরা-মুহম্মদপুর ও কুষ্টিয়া এলাকার সর্বশেষ নীলবিদ্রোহ।
(তথ্য সূত্র: নড়াইল জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য -- মহসিন হোসাইন।)
অন্যান্য ভাষায় এর নাম:
• English: True Indigo
• Hindi: नील neel
• Manipuri: নীম Neem
• Marathi: निळंबी nilambi, नीली nili
• Tamil: அவுரி avuri, நீலி nili
• Malayalam: അമരീ amari, നീലമരീ nilamari, nili
• Telugu: అవిరి aviri, నీలి nili
• Kannada: ajara, nili
• Bengali: নীল nil • Konkani: नीली Nilli
• Urdu: نیل Nel
• Assamese: ৰংগপাত Rangapat
• Gujarati: નીલ neel • Sanskrit: नीली neeli, nilika, नीलिनी nilini, रंगपत्री rangapatri
বৈজ্ঞানিক নাম: Indigofera tinctoria
গোত্র: Fabaceae
নীল
Reviewed by রেজওয়ান
on
8:44 AM
Rating:
No comments: