মালভ্যাসি বা মালোস ফুলের গাছগুলো একটি পরিবারের অন্তর্ভূক্ত বর্ষজীবী উদ্ভিদ যা ৩-৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কান্ড গোলাকার, পাতা খাঁচ কাটা এবং কান্ডে ডাল-পালা থাকে। পাতায় তিন থেকে ৫টি পর্যন্ত খাঁচ থাকে। সাদাফুলের মাঝখানে লাল গোলাাকর বৃত্ত ফুলকে একটি আলাদা সৌন্দর্য্য দিয়েছে, ফলের উপরে মাংসল আবরণের রং লাল। ইংরেজীতে বলা হয় রোজেলি (Roselle) যা বাংলায় চুহই, চুক বা টক ফল, আদিবাসীরা একে আমেলী বলে থাকে। আরবরা একে বলে করকোদে (Karkade), ফ্রান্স ভাষায় লজেলী (L`oiselle), স্প্যানিস ভাষায় ‘জামাইকা (Jamaica)’ বলা হয়। এটি আরও বহুবিধ নামে ভিন্ন ভিন্ন দেশে পরিচিতি।
ফলের উপরের মাংসল অংশ (Calyx) উষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীর দেশে ঠাণ্ডা ও গরম পানীয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। চীনে বীজ থেকে তৈল বের করে ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। এর পাতা, বীজ ও ফলের উপরের মাংসর অংশ বহুবিধ ভেষজ ঔষধ হিসেবে আমেরিকা, আফ্রিকা ও চীনে ব্যবহার হয়। পাতা ও বীজের পাউডার পশ্চিম আফ্রিকায় উপাদেয় খাদ্য। আমাদের দেশে সাধারণত ফলের উপরের লাল মাংসল অংশ টক হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। আদিবাসীর এর পাতাও সবজি হিসেবে রান্না করে খায়। অনেক দেশে জ্যাম, জেলী, আচার ও আইসক্রীম তৈরিতে ব্যবহার হয়।
উৎপাদন : রোজেলি বেশ শক্ত উদ্ভিদ এবং জলাবদ্ধতা ছাড়া সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। মূল শস্য হিসেবে চাষ না হয়ে সাধারণত মিশ্র শস্য পদ্ধতির চাষে বেশি হতে দেখা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদা, হলুদ ও আনারস ক্ষেতে রোজেলী চাষ হতে দেখা গেছে। ভাল ফলনের জন্য ৪-৮ মাস পর্যন্ত তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে না হওয়া ভাল। চাষের প্রথম ৪-৫ মাস দিনে ১৩ ঘন্টা সূর্যালোক খুবই ভাল ফল পাওয়া যায় এবং অপ্রাপ্ত বয়সে ফুল আসেনা। স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ৩-৪ মাস পর্যন্ত ৫-১০ ইঞ্চি বৃদ্ধিপাতই যথেষ্ট। পরিপক্ক হওয়ার শেষ মাসে উষ্ণতা বেশি হলে উৎপাদন, ফলের রং এবং গুণাগুণ ভাল হয়। আহরণের ও শুকানোর সময় বৃষ্টি এবং আদ্রতায় উৎপাদন কম হয় ও গুণাগুণ নষ্ট হয়ে থাকে।
চাষাবাদ : রোজেলি দিনের বেলার দৈর্ঘ্যরে সঙ্গে ভীষণ সংবেদনশীল। দিনের দৈর্ঘ্য কমে গেলে গাছ পরিপক্ক হওয়ার আগেই ফুল এসে যায় এবং ফলন ও গুণাগুণ ঘাটতি দেখা দেয়। তাই দিনের দৈর্ঘ্যরে দিকে খেয়াল রেখে বীজ বপন করতে হবে বৃষ্টিপাতের কথা চিন্তা করে নয়।
রোজেলির বেশ লম্বা শিকড় হয়ে থাকে তাই ভাল উৎপাদনের জন্য মাটির গভীরে চাষ করা দরকার। বীজ তলা তৈরি করার সময় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ভাল উৎপাদন পেতে একরে ৫০০-১০০০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা উচিৎ। একর প্রতি ৩-৮ কেজি বীজ মাটির ১ ইঞ্চি নিচে বপন করতে হবে। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার শুরুতে বীজ বপন করতে হবে এবং একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব ২-৩ ফুট এবং এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব ১৮-২৪ ইঞ্চি রাখলে ভাল উৎপাদন পাওয়া যায়। গাছ থেকে গাছের দূরত্ব বেশি হলে ফলের আকার বেশ বড় হয়। হাতের সাহায্যে বা মেশিনের মাধ্যমে বীজ বপন করা যায়। রোজেলির রয়েছে শতাধিক প্রজাতি। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক প্রজাতি পাওয়া যায় চীন, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো এবং আফ্রিকার সুদান, সেনেগাল ও মালিতে। আমাদের দেশের মধুপুরের গারো উপজাতি অঞ্চলে আগে উন্নত জাতের রোজেলী প্রচুর দেখা যেত, কিন্তু বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত। সমতল ভূমিতেই বেশি পাওয়া যেত। তবে দেশে কখনও এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি উপজেরার বালুখালী ইউনিয়নের কেল্লামুরোয় আমি খুব উন্নত জাতের রোজেলী দেখেছি।
প্রাকৃতিক শত্রু : রোজেলির প্রধান শত্রু হলো কান্ড ও শিকর পঁচা রোগ। রোগ সংবেদনশীল নয় এবং উন্নত জাতের বীজ রোপন এবং গাছের গোড়ায় যাতে বেশি আদ্রতা বা পানি জমে না থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কীটপতঙ্গ দ্বারা রোজেলি খুব কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে কোথাও কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। রোজেলির কান্ড ছিদ্রকারী পোকার নাম Coleoptera, Flea beetles এবং Podagrica spp. Lepoptera নামক এক ধরনের আর্থ ওরাসিসি colon Ball WARM এবং Ges Cut Warm দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কখনও কখনও Homolera, Mealyptera Bugs এবং Leaf hopper দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়। সাধারণত পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ করলে রোগব্যাধি বা পোকা-মাকড়ে তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না। ক্ষেত সব সময় আগাছা মুক্ত করে রাখলে উৎপাদন ভাল হয় এবং বড় আকারের ফল পাওয়া যায়। আগাছা পরিষ্কারের পিছনে বেশি শ্রম ব্যয় করলে কৃষকের লাভ কমে যায়। বেশি ফলনের জন্য অতিরিক্ত উষ্ণতায় সেচ দেয়া যেতে পারে।
বৃদ্ধি : রোজেলির ফুল আসা নির্ভর করে দিনের আলো কমে আসা এবং আলোর উজ্জ্বলতার উপরে। সাধাণত সেপ্টেম্বর বা তার পরে ফুল আসতে থাকে এবং অক্টোবরে সারা ক্ষেতে ফুলে ভরে যায় এবং এই মাসের শেষের দিকে বা কিছু পরে ফুল ঝরে ফল আসতে থাকে। গাছের নিচের দিক থেকে ফল পাতা শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে গাছের মাথার দিকে পাকতে শুরু করে। ফল পরিপূর্ণ পেঁকে গাছের পাতা ঝরে গেলে বীজ আহরণ করলে ভাল ফলাবরণ (Calys) পাওয়া যায়।
আহরণ : বীজ পাকার উপর নিভর করে আহরণ। ফুল ঝরে যাওয়ার পর বীজাবরণ ফেটে বীজ বের হওয়ার আগেই আহরণ করতে হবে। পরিপূর্ণ হওয়ার পর গাছের সঙ্গে ফল বেশি দিন থাকলে ফলাবরণে ঘা হয়, সূর্যের উষ্ণতায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং গুণাগুণ কমে যায়। হাতে আহরণ করাই উত্তম। আহরণের সময় যাতে কোন দূষণ না হয় বা বাইরের কোন দ্রব্য সামগ্রীর মিশ্রণ না ঘটে সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হভে। কোন অবস্থায়ই ফলাবরণ মাটিতে বা ময়লাযুক্ত স্থানে শুকানো উত্তম। পরিষ্কার সুতি কাপড় বা পাটি বিছিয়ে শুকানো উত্তম। পরিষ্কার ব্যাগ বা কন্টেনারে আহরণস্থল থেকে শুকানোর স্থানে নিতে হবে। দূষণ রোধের জন্য আহরণ স্থল ও শুকানোর জায়গার মধ্যে দূরত্ব কম হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিভিন্ন পদ্ধতিতে রোজেলী আহরণ করা যায়। মেক্সিকোতে সম্পূর্ণ গাছ কেটে কাছাকাছি কোন স্থানে নিয়ে ফলাবরণ আলাদা করা হয়। চীনে গাছ থেকে শুধু মাত্র পাতা ফল আহরণ করা হয় এবং অপরিপক্ক ফল না পাড়া পর্যন্ত গাছেই থাকে। গাছ থেকে প্রথম ফল আহরেণর দশ দিন পর অপরিপক্ক ফল পরিপক্ক হয়ে যায় এবং পর্যায়ক্রমে আহরণ করা যায়। ফল থেকে হাতের সাহায্যে বা ধারালো ছুরি দিয়ে ফলের মাংসল আবরণ আলাদা করা যায়।
শুকানো : ফলাবরণ বিভিন্ন পদ্ধতিতে শুকানো যায়। আলো বাতাস আসা যাওয়া করে
এমন জায়গায় ওভেন নাইলন বা মাদুরে শুকানো যায়। সরাসরি রোদে শুকালে গুণাগুণ
নষ্ট হয়। ৩ ফুট মাচার উপর অথবা যেখানে ধুলা-বালাই সেই সেখানে পরিষ্কার
পলিথিন বিছিয়ে শুকানো যায়। এ পদ্ধতিতে অনেক সময পোকামাকড় আক্রান্ত হয় এবং
পচন ধরে। সর্বোত্তম পন্থা হলো কাঠের স্ক্রীনের ফ্রেমে শুকানো। এতে গুণাগুণ
নষ্ট হয় না বললেই চলে এবং শুকানোর সময়ও অনেক কম লাগে। আলো বাতাস চলাচল করে
এমন ঘরের মধ্যেও ঝুুলিয়ে এই ফ্রেমে শুকানো যায়। বায়ুর চাপে শুকানো একটি
ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং তা খুব কমই দেখা যায়। এই পদ্ধতিতে শুকালে অবশ্যই খেয়াল
রাখতে হবে যে তাপাত্রা যেন কোন অবস্থায়ই ৪৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অতিক্রম না
করে।
ফলন : পরিকল্পিতভাবে চাষ করলে একর প্রতি ২৫০ কেজি ফলাবরণ, পায় ১০০০ কেজি
বীজ ও ১০০০-১৫০০ কেজি আঁশ পাওয়া যায়। শুকনোর অনুপাত ১০ঃ১.১। অর্থাৎ ১০০
কেজি ফ্রেশ বা তাজা আবরণ শুকালে ১১ কেজি শুকনো আবরণ পাওয়া যায়।
আয়-ব্যয় : এক একর জমিতে ১৫ কেজি বীজ প্রয়োজন। যার মূল্য (১৫Х৫০) = ৭৫০ টাকা।
একর প্রতি জৈব সার প্রয়োজন ৫০০ কেজি, মূল্য (৫০০ Х ১০) = ৫০০০ টাকা এবং চাষাবাদ বাবদ খরচ = ২০০০ টাকা, আগাছা পরিস্কার ও অন্যান্য খরচ = ২০০০ টাকা, আহরণ ও প্রক্রিয়াকরণ =৫,০০০ টাকা। সুতরাং একর প্রতি মোট খরচ প্রায় ১৪,৭৫০ টাকা।
আয় : প্রতি একর জমি থেকে পাওয়া যাবে ২৫০ কেজি ফলাবরণ, যার মূল্য (২৫০Х ৩০০) =৭৫,০০০ টাকা, বীজ ১,০০০ কেজি, যার মূল্য (১,০০০Х৫০) = ৫০,০০০ টাকা, লাকড়ি ১৫০০ কেজি, যার মূল্য (১৫০০Х ১০) = ১৫,০০০ টাকা। সুতরাং একর প্রতি মোট আয় =১,৪০,০০০-১৪,৭৫০) = ১,২৫,২৫০ টাকা। এই হিসাবটি বাজার মূল্য এবং উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল।
রোজেলিতে যা আছে : এতে রয়েছে এন্তেসায়ামিনস্, প্রবোক্যাটিউ এসিড, শুকনো খোসা বা আবরণে আছে ফ্লাভোনোয়েডস, গসিপিটন, হিবিসিটিন, সাবদারিটিন, হিবিসিন, ডাবনিফাইলিন, ডিফিনাইডিন, ৩-মনোগ্লুকোসাইড সাযানিডিন, ৩-মনোগ্লুকোসাইডস (চেরিসানখেনিন) এবং ডেলফিনাইডিন। এ ছাড়াও রোজেলীতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি।
ব্যবহার : পাতা সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। ফলের আবরণ টক রান্না
করে খাওয়া যায়। ফলের তাজা বা শুকনো আবরণ দিয়ে চকলেট জ্যাম, জেলী, আচার,
চাটনী ও আইসক্রীমে ব্যবহার হয় ফলের শুকনো খোসা বা আবরণ শরবৎ বা ড্রিংস এবং
চা তৈরি করে খাওয়া যায়। বীজের পাউডার ইত্তেজক কফি হিসেবে ব্যবহার হয়।
জানা যায়, এ বীজের পাউডার যৌন শক্তি বাড়ায়। ফল আহরণের পর গাছ কেটে পানিতে
ভিজিয়ে পাটের মত যে আঁশ পাওয়া যায় তা দিয়ে শিকে, কার্পেট, দড়িসহ পাটের
বিকল্প অনেক কিছু তৈরিতে ব্যবহার হয়।
ঔষধি ব্যবহার : বুক ধড়ফড় কমায় ও নিরাময় করে, মূত্রনালীর ক্ষত সারায়, মূত্র বৃদ্ধিকারক বা প্রসারের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, স্নায়ুতন্ত্রের শক্তি বাড়ায় এবং স্নায়ুসংক্রান্ত রোগ নিরাময় করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময় করে। হৃদরোগ বিশেষ উপকারী এবং হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়।
রোজেলি যৌনশক্তি বা কামোত্তোজনা বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি বাড়ায়, কোষ্ট বর্ধক, পিত্ত নিঃসারক পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে হজম শক্তি বাড়ায়, প্রশমক বা স্নিস্থাকারক এবং শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। শরীর ঠাণ্ডা রাখে, রোগ বিলীন হওয়ার পক্ষে উন্নতি বর্ধক। খিটখিটে মেজাজ দুর করে। টনিক হিসেবে কাজ করে। শারীরিক শক্তি বাড়ায়। পুঁজ জমে যাওয়া ঘা সারায়। কফ কাশিতে উপকারী। ব্রুন নিবারণ করে। শারীরিক দুর্বলতা নিরাময় করে। অজীর্ণতা বা হজম ক্রিয়ার গন্ডগোল দূর করে। জ্বর নিরাময়ক। শরীরে জীবাণু বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণকে দমন করে। মাথাধরা দুর করে। ভিটামিন সি এর অভাব জনিত স্কার্ভি নিরাময় করে। রক্তস্বল্পতা নিবারণ করে। শরীরের জটিল ও পুরাতন প্রদাহ কমায়। ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে খাদ্যের ক্যালরি যাতে কমে না যায় সে ব্যাপারে খুবই সহায়ক। মাদক বিষাক্ততা নিরাময় করে।
উপকারী ও লোকজ ব্যবহার : রক্তের ক্ষতিকর কোলেষ্টরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হজমকারক, কোষ্ঠ পরিস্কারক, স্নায়ুর কার্যকারীতা বৃদ্ধিকারক ও ক্যান্সারে উপকারী। হার্বাল টি হিসেবেও ব্যবহার হয়। জেলী ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরী এবং পাতা সবজি হিসেবে উপাদেয়। হৃদকম্পন ও মূত্রাশয়ের রোগে উপকারী।
ব্যবহার বিধি :
১. মূত্র কম হওয়া : ফলের ত্বক চূর্ণ অথবা ক্বাথ (জ্বাল দেওয়া রস) প্রস্রাব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
২. কোষ্ঠবদ্ধতা : ফলের উপরের অংশ (ত্বক) কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে, কফ কাশিতে উপকার হয়।
৩. ব্যথা : পাতার রস ব্যথা ও ক্ষতে উপকারী। ফল ক্যান্সারে উপকার করে।
৪. যকৃত দুর্বলতা : ফলের ত্বক ক্বাথ যকৃতের কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে এবং বায়ু নিম্নমুখী করে বের করে দেয়।
৫. রক্ত চাপ কমায় : ফলের ত্বক উচ্চ রক্তচাপ ও ক্ষতিকর কোলেষ্টেরল কমায়। এক
কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ রস ত্বকে ৫ মিনিট রেখে পানি লাল হলে চায়ের মত
পানি করতে হবে।
৬. হৃদ রোগেও উপকারি।
সংগ্রহ: আগামীনিউজ
No comments: