রক্তকুঁচ


এই প্রজাতির বেশ কটা নাম আছে। যেমন রতি, গুঞ্জা, চূড়ামণি। চট্টগ্রামের দিকেই এই কুঁচের বেশি দর্শন মেলে। হেমন্তকালে এর গোলাপি ছোপলাগা ফুলে ভরে যায় এই লতাগুল্ম, দূর থেকে অনেকটা শিম ফুলের মতো দেখায়। এই রক্তকুঁচের এক ঘনিষ্ঠ প্রজাতি আছে, যার ফুল সাদা আর ফল দুধে আলতা মেশানো রঙে সমুজ্জ্বল; আমাদের দেশের রূপকথার কুঁচবরণ কন্যার গায়ের রঙের মতো। কিন্তু রক্তকুঁচের বীজ উজ্জ্বল লাল রঙের আর নিচের দিকে এক কালো ফোঁটা। সোনারুদের দোকানে এই বীজ দেখা যায় সোনা মাপার ওজন হিসেবে। তাই এর এক নাম রতি।
রক্তকুঁচ লতানো উদ্ভিদ, ব্যাংককের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেষজ উদ্ভিদের দ্বিতীয় বাগানে ঢোকার পথেই এর দেখা মেলে। থাই-চীনা ভেষজ জগতে এর গুরুত্ব বড় একটা নেই। কারণ, এর বীজে আছে অ্যাব্রিন নামের রাসায়নিক পদার্থ, যা শরীরের জন্য বিষাক্ত। যে জন্য ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার সীমিত। কিন্তু ভারতীয় বনৌষধির সমীক্ষায় রক্তকুঁচের পাতা, বীজ ও মূলের নির্যাসের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। বীজের নির্যাস জীবাণুনাশক ও ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার এক ভেষজ হিসেবে চিহ্নিত। পাতার রস সর্দি-কাশি ও কলিক ব্যথায় ব্যবহারের প্রথা প্রচলন আছে। ফলে রক্তকুঁচের ভেষজ ব্যবহারে থাই-চীনা ও ভারতীয় বনৌষধির মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যায়।
রক্তকুঁচের বৈজ্ঞানিক নাম Abrus precatorius ও ইংরেজী নাম Abrus precatorius। পরিবার Leguminosae বা শিম পরিবার।



রক্তকুঁচ রক্তকুঁচ Reviewed by রেজওয়ান on 12:33 PM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.