ধান

এর শস্যদানা মানুষের প্রধান খাদ্য। ধান বিভিন্ন জাতের হয়। জাত ও বাসস্থান ভেদে ধান গাছের ছোপা ও দৈর্ঘে তারতম্য দেখা যায়। যে সকল ধান পানিতে জন্মে সেই গাছগুলো খুব লম্বা হয়। এটি Gramineae গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ।


বাংলাদেশের জলবায়ু ধান চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগী হওয়ায় এটি এদেশের একটি প্রাচীনতম ফসল হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে চতুর্থ বৃহত্তম। ধানই এদেশের প্রধান খাদ্য শস্য। এ দেশের অর্থনীতি মূলত: ধান উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। নতুন নতুন বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এর মূল কারণ। এর উপর রয়েছে খরা, বন্যা, লবণাক্ততাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অপর দিকে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষাবাদযোগ্য ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগ না থাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের মাধ্যমে অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদার যোগান দেওয়া হচ্ছে। ধানের ইংরেজি নাম Rice এবং বৈজ্ঞানিক নাম Oryza sativa।

পুষ্টিমাণ



(প্রতি ১০০ গ্রামে)


উপাদান

পরিমান

খাদ্যবল (কিলোক্যালরী)

৩৬১
কার্বোহাইড্রেট
(গ্রাম)
৮২.০
প্রোটিন (গ্রাম) ৬.৪০
চর্বি (গ্রাম) ০.৮০
ফাইবার বা আঁশ (গ্রাম) ০.৬০
খনিজ পদার্থ (গ্রাম) ০.৭২
ক্যালসিয়াম (মিলিগ্রাম) ৮.২০
ফসফরাস (মিলিগ্রাম) ৮৭.০০
আয়রন (মিলিগ্রাম) ৩.২০
থায়ামিন (মিলিগ্রাম) ০.২০
রিবোফ্লোভিন (মিলিগ্রাম) ০.২০

নিয়াসিন (মিলিগ্রাম)

৪.০০

ভিটামিন বি-১ (মিলিগ্রাম)
০.০৭

ভিটামিন বি-২ (মিলিগ্রাম)
০.০২


ঋতুভেদে আমাদের দেশে ৩ প্রকার ধান চাষ পরিলক্ষিত হয়। ভাল ফলনের জন্য নতুন উদ্ভাবিত জাত নির্বাচন করা উচিত। উপযুক্ত সময়ে বপনের ক্ষেত্রে নীচে উল্লেখিত জাতগুলো ভাল -




মৌসুম



জাত



আউশ


বিপ্লব,

চান্দিনা,
আশা এবং
সুফলা



আমন


বিআর ৪,

বিআর ৫,
বিআর ১০,

বিআর ১১,
বিআর ২২,

বিআর ২৩,
বিআর ২৫,

ব্রি ধান ৩০,
ব্রি ধান
৩১
,
ব্রি ধান ৩২,
ব্রি ধান
৩৩
,
ব্রি ধান ৩৪,
ব্রি ধান
৩৭
,
ব্রি ধান ৩৮,
ব্রি ধান
৩৯
,
ব্রি ধান ৪০,
ব্রি ধান
৪১
,
ব্রি ধান ৪৪,
বাউধান ২,

বিনাধান ৪,
বিনাশাইল,

বিরুই ইত্যাদি    



বোরো


বিআর ৩,

বিআর ১৪,
বিআর ১৬,

বিআর ১৮,
বিআর ১৯,

বিআর ২৮,
ব্রি ধান
২৯
,
ব্রি ধান
৩৬,

ব্রি ধান-৪৫ ,
ব্রি
হাইব্রিড ধান ১
,
হিরা,
জাগরণ
(সোনার বাংলা)
,
ভরসা (বাউধান

৬৩)
,
ইরাটম,
বিনাধান
,
বিনাধান ৬,
বিনাশাইল
ইত্যাদি
 


লক্ষ্যনীয় : স্বল্পায়ু জাত যেমন, পূর্বাচী এবং বিআর ৭ ইত্যাদির বেলায় অপোকৃত কম বয়সের চারা রোপণ করাই ভাল। নাবী আমনের ক্ষেতে একটু বেশি বয়সের (৫০ থেকে ৫৫ দিনের) চারা রোপণ করা দরকার। বোরো মৌসুমে শীতপ্রধান অঞ্চলের জন্য ৫৫ থেকে ৬০ দিন বয়সের চারা রোপণ অধিকতর উপযোগী ।


ধানের জাত নির্বাচন : জমি, মৌসুম, পরিবেশ এবং শস্যক্রম বিবেচনায় রেখে ধানের উপযুক্ত জাত নির্বাচন করতে হবে।

ধান ধান Reviewed by রেজওয়ান on 9:09 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.