গ্রাম-বাংলার খুব পরিচিত একটি শাক হল বথুয়া / বতুয়া বা বেথো / বৈতে শাক। এটি শীতকালীন জনপ্রিয় একটি শাক। কেউ চাষ না করলেও জমিতে আগাছার মত আপনা আপনি জন্ম নেয় এ শাক। মূলত এটি একটা আগাছা। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই শাক প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও বথুয়া শাক পাওয়া যায়।
বথুয়া শাকের বৈজ্ঞানিক নাম
Chenopodium album. ইংরেজিতে lamb's quarters কিংবা goose foot.
বথুয়া বর্তমানে বাংলাদেশ, নেপাল, চীন এবং ভারতের যত্রতত্র খাদ্য হিসেবে চাষাবাদ করা হয়।
সুস্বাদু এ শাক দামেও বেশ সস্তা। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে। এ শাকের গড় উচ্চতা ২-৩ ফুট। এটি বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছের পাতার রং ফ্যাকাসে সবুজ। কান্ডে উঁচু শিড়া ও বেগুনি রেখা দেখা যায়। পাতার উপর মোমের ন্যায় প্রলেপ থাকায় পানি ধরেনা। পাতার নিচেও সাদাটে আস্তরণ থাকে। এ শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ও জিংক এবং গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো এসিড।
বথুয়া বা বতুয়া শাক মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ শাক প্রচুর ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন।
- হজমশক্তি উন্নত করে, খিদে বাড়ায়, পেট ব্যাথা ও দূর করে।
- কিডনিতে পাথর হলে বথুয়া শাকের জুস খুব উপকার করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ বথুয়া শাকের রস ও এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে টানা দশদিন খেতে হবে। এতে কিডনিতে থাকলে পাথর গলতে শুরু করে।
- ত্বকের শ্বেতী জাতীয় রোগ নিরাময়ে বথুয়া শাক দারুণ কাজ করে। এর জন্য চার কাপ বেথুয়া শাক, এক কাপ তিলের তেলের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে এক কাপ সমপরিমাণ করুন। প্রতিদিন একবার ক্ষত স্থানে মালিশ করুন। তবে পুরোপুরি এ রোগ সারতে কিছুটা সময় লাগবে।
- গরম পানিতে বা আগুনে ত্বক ঝলসে গেলে ঐ স্থানে বথুয়া শাক বেটে লাগিয়ে রাখুন জ্বালা পোড়া কমে যাবে। - প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া করলে আধা কেজি বথুয়া শাক বেটে, তিন গ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করে ছেঁকে নিন। এরপর এতে তিন চা চামচ জিরা গুঁড়ো, তিন চা চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করুন। দিনে তিনবার কয়েকদিন খেলেই এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- লিভারের সমস্যা, পিত্ত, মলাশয়ের সমস্যা দূর করে।
- মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খেলে বা রান্না করে খেলে ঘা সেরে যায়।
মো. আলী আশরাফ খান
বথুয়া শাকের বৈজ্ঞানিক নাম
Chenopodium album. ইংরেজিতে lamb's quarters কিংবা goose foot.
বথুয়া বর্তমানে বাংলাদেশ, নেপাল, চীন এবং ভারতের যত্রতত্র খাদ্য হিসেবে চাষাবাদ করা হয়।
সুস্বাদু এ শাক দামেও বেশ সস্তা। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে। এ শাকের গড় উচ্চতা ২-৩ ফুট। এটি বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এ গাছের পাতার রং ফ্যাকাসে সবুজ। কান্ডে উঁচু শিড়া ও বেগুনি রেখা দেখা যায়। পাতার উপর মোমের ন্যায় প্রলেপ থাকায় পানি ধরেনা। পাতার নিচেও সাদাটে আস্তরণ থাকে। এ শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ও জিংক এবং গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো এসিড।
বথুয়া বা বতুয়া শাক মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ শাক প্রচুর ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন।
- হজমশক্তি উন্নত করে, খিদে বাড়ায়, পেট ব্যাথা ও দূর করে।
- কিডনিতে পাথর হলে বথুয়া শাকের জুস খুব উপকার করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ বথুয়া শাকের রস ও এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে টানা দশদিন খেতে হবে। এতে কিডনিতে থাকলে পাথর গলতে শুরু করে।
- ত্বকের শ্বেতী জাতীয় রোগ নিরাময়ে বথুয়া শাক দারুণ কাজ করে। এর জন্য চার কাপ বেথুয়া শাক, এক কাপ তিলের তেলের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে এক কাপ সমপরিমাণ করুন। প্রতিদিন একবার ক্ষত স্থানে মালিশ করুন। তবে পুরোপুরি এ রোগ সারতে কিছুটা সময় লাগবে।
- গরম পানিতে বা আগুনে ত্বক ঝলসে গেলে ঐ স্থানে বথুয়া শাক বেটে লাগিয়ে রাখুন জ্বালা পোড়া কমে যাবে। - প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া করলে আধা কেজি বথুয়া শাক বেটে, তিন গ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করে ছেঁকে নিন। এরপর এতে তিন চা চামচ জিরা গুঁড়ো, তিন চা চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করুন। দিনে তিনবার কয়েকদিন খেলেই এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- লিভারের সমস্যা, পিত্ত, মলাশয়ের সমস্যা দূর করে।
- মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খেলে বা রান্না করে খেলে ঘা সেরে যায়।
মো. আলী আশরাফ খান
বতুয়া শাক
Reviewed by রেজওয়ান
on
4:16 AM
Rating:
No comments: