আমাদের দেশের খুব পরিচিত ভেষজগুণ সম্পন্ন একটি পাতা হচ্ছে থানকুনি পাতা। এর ল্যাটিন নাম centella asiatica। থানকুনি পাতা বাংলাদেশের সবজায়গায় জন্মায়। বাসা-বাড়ির সৌন্দর্য অংশ হিসেবে অনেকে আবার টবে রোপণ করে থাক এই পাতা। এছাড়া থানকুনি পাতা দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।
থানকুনি পাতার রয়েছে নানা ভেষজগুণ। যেমন- নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর, পেটের পীড়া, আমাশয়, আলসার, বাতসহ অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। মুখের ভিতরে ঘা হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে ঘা কমে যায়। বাচ্চাদের কথা স্পষ্ট না হলে প্রতিদিন এক চামচ থানকুনি পাতার রস গরম করে খাওয়ালে কথা স্পষ্ট হয়।
এছাড়া ঠাণ্ডা-কাশি হলে ১ টেবিল চামচ থানকুনির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। যাদের স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল, তারা নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
থানকুনি পাতার ভর্তা ভোজনরসিক বেশিরভাগ বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। চলুন তাহলে জেনে নিই কিভাবে সহজে তৈরি করা যায় থানকুনি পাতার সুস্বাদু ভর্তা।
উপকরণ: থানকুনি পাতা ৪০ থেকে ৫০টি, কাচামরিচ ২টি, রসুন ১টি, লবণ পরিমাণমত।
প্রস্তুত প্রণালী: থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে কেটে, কাচামরিচ, রসুন, লবণ মিশিয়ে পাটায় বেটে তৈরি করে নিতে পারেন সুস্বাদু থানকুনি পাতার ভর্তা।
অথবা
উপকরণ: থানকুনি পাতা ৪০ থেকে ৫০ টি, পিয়াঁজ ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, সরিষার তেল ও লবণ পরিমাণ মত।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিতে হবে। পিঁয়াজ ও থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর পিয়াঁজ, মরিচ, লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে মেখে এর সঙ্গে থানকুনি পাতা মেখে নিলেই হয়ে যাবে ভর্তা।
থানকুনি
Reviewed by রেজওয়ান
on
7:21 AM
Rating:
খুব সুন্দর আপনার সবগুলি পোস্ট...
ReplyDeleteআমারও একটি বাংলা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত হোমিওপ্যাথিক সাইট আছে যাতে হয়ত আপনারা উপকৃত হতে পারেন।
সাইটটির URL হলঃ
http://www.alphahomeocare.com/
That's good site for me.
ReplyDeleteথানকুচি পাতার উপর চমৎকার একটি লেখা। অনেক ধন্যবাদ।
ReplyDeleteথানকুচি পাতার উপর চমৎকার একটি লেখা। অনেক ধন্যবাদ।
ReplyDeleteZajakallahu khairan
ReplyDeletevery good side
ReplyDelete