বাংলাদেশে পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। সোনার বাংলার এক সময় সবচেয়ে অর্থকরী ফসল ছিল এই পাট। পাট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ দেশে বহু হাট-বাজার-গঞ্জ গড়ে উঠেছে। পাট ও পাটজাত বিভিন্ন পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এ দেশের বহু মানুষের কর্ম। কিন্তু পাটের সে সুদিন আর নেই। বিশ্বজুড়ে একসময় পাটের চাহিদার মোট ৮০ শতাংশ সরবরাহ করত বাংলাদেশ। বর্তমানে মোট চাহিদার মাত্র ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে বাংলাদেশ। এই অর্থকরী ফসলটি সরু লম্বা ডাঁটার মতো একটি দ্বিবীজপত্রী আঁশযুক্ত উদ্ভিদ। বাণিজ্যিকভাবে সাধারণত সাদা ও তোষা_এ দুই জাতের পাটের চাষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ব্রাজিলে পাটের চাষ হয়ে থাকে।
ধারণা করা হয়, উড়িয়া শব্দ jhuta বা jota থেকে পাটের ইংরেজি শব্দ jute এসেছে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় পাট চাষ হলেও ফরিদপুর, যশোর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জামালপুরই প্রধান পাট চাষের অঞ্চল। পাটের আঁশ থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও শৌখিন পণ্য তৈরি করা হয়। কাপড়, কার্পেট, বস্তা, রশিসহ বিভিন্ন জিনিস পাট থেকে তৈরি করা হয়। পাটের তৈরি দ্রব্যাদি পরিবেশবান্ধব হয়ে থাকে বলে এটি বর্তমান বিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশে পাটজাত পণ্য তৈরির জন্য অনেক পাটকল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যদিও বৃহত্তম পাটকল নারায়ণগঞ্জের আদমজি জুটমিল লাভজনক প্রতিষ্ঠান না হওয়ার অজুহাতে সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।
গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার
পাট
Reviewed by রেজওয়ান
on
8:08 AM
Rating:
No comments: