ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মধ্যে অবস্থিত বোটানিক গার্ডেনে আছে লেমন গ্রাস। বাংলা নাম গন্ধতৃণ বা গন্ধবেণা, হিন্দি নাম গন্ধতৃণ, সংস্কৃত নাম ভূস্তৃণ, অতিগন্ধা ও সুগন্ধতৃণ এবং ইংরেজি নাম lemon grass or oil grass, পোয়েসি পরিবারভুক্ত এ উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Cymbopogon citratus. এটি এক ধরনের তৃণ বা ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ, উচ্চতা ৫/৭ ফুট, পাতা লম্বায় প্রায় ৩/৪ ফুট। এ ধরনের ঘাসে সাধারণত ফুল হয় না, তবে ফুল দেখা যেতেও পারে। ফুলের বোঁটা ছোট, পুষ্পদ- সরু ও একদিকে অবনত। ফুল উভলিঙ্গিক। বর্ষাকালে ফুল হয়। তেলের জন্য জাভা, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মাদাগাস্কার, মরিশাস ও দক্ষিণ আমেরিকাতে এর চাষ করা হয়। পাতার রস বা ক্কাথ জ্বরঘ্ন, ঘর্মকারক, উদ্দীপক, মুখগহ্বর ও মাথার শৈ্লষ্মিক ঝিল্লীর প্রদাহের প্রতিষেধক এবং ম্যালেরিয়া রোগগ্রস্ত শোথরোগীর জন্য ফলপ্রদ। এ ছাড়া এটি কৃমিনাশক, ক্ষুধাবর্ধক, বিরেচক, শিশুদের কাসিতে লাভদায়ক, আন্ত্রিক রোগে ব্যবহার্য ও কামেচ্ছানাশক। ঘাসসিদ্ধ পানিতে দুধ ও চিনি মিশিয়ে চায়ের মতো পান করা যায়। জাভাতে ঘাসের রস দিয়ে মসলাদার সুস্বাদু শরবত তৈরি করা হয়। ইউনানি মতে এর রসে ৪০ দিন গন্ধকে ভিজিয়ে রেখে রোদে শুকিয়ে নিয়ে ওই গন্ধক ২৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় পানের সঙ্গে সেবন করলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। গন্ধতৃণের তেল ঘর্মকর, উদ্দীপক, পেটফাঁপা ও আক্ষেপ নিবারক এবং আমাশয়ের মূল্যবান ওষুধ। এটি কলেরায় বমননিবারক, অবসাদনাশক ও বলকারক। পুরনো বাত, স্নায়ুশূল, মচকানো ব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথায় তেল খাওয়ালে ও মালিশ করলে ভালো কাজ হয়।
যে কোনো জ্বরে নয়, পিত্তজ্বরে এটি ভালো কাজ করে। জ্বরের সঙ্গে শরীরে দাহ, পায়খানা হচ্ছে না, ক্ষুধা কম, পেটে অল্প-বিস্তর ব্যথাও আছে; অথচ এটি ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড জ্বর নয়। এক্ষেত্রে মূলসহ শুকনো ঘাস ২৫ গ্রাম নিয়ে ৫/৬ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে, ২ কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে, সেটিকে আধকাপ মাত্রায় সারাদিনে ৪ বারে খেতে হবে। এর ফলে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাবে এবং অন্যান্য উপসর্গগুলোও চলে যাবে। এভাবে ২-৩ দিন সেবন করা দরকার। অগি্নমান্দ্যে অর্থাৎ ক্ষুধা ভালো হচ্ছে না, দাস্তও পরিস্কার হয় না, মাঝেমধ্যে পেট ফাঁপে_ এক্ষেত্রে উপরোক্ত পদ্ধতিতে ক্কাথ তৈরি করে ১ সপ্তাহ খেলে ক্ষুধা বাড়তে আরম্ভ করবে। তারপর আরো কিছুদিন ওই মাত্রায় দিনে দুবার করে খেতে হবে। অর্থাৎ ১০-১২ গ্রাম মূলসহ শুকনো ঘাস ৩-৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে, সেটা দুবারে খেতে হবে। ক্রিমির উপদ্রবে- ছোট ছোট ক্রিমি অথবা কেঁচো ক্রিমি যেটিরই উপদ্রব হোক না কেন, মূলসহ শুকনো ঘাসের (১০/১২ গ্রাম) ক্কাথ উপরোক্ত পদ্ধতিতে তৈরি করে সকালে ও বিকালে দুবারে কয়েকদিন সেবন করলে এর উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কামজ উন্মাদে _এটা ছেলেমেয়েদের যৌবনের রোগ। তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এর শিকার বেশি হয়। ছেলেদের হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তখন যৌনাচারে কোনো বাদ-বিচার থাকে না। মেয়েদের হলে প্রাথমিক অবস্থায় চুপচাপ থাকে, যতক্ষণ সম্ভব নিজেকে সামলে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে, তারপর সামলাতে না পারলে ছেলেদের মতো কেউ কেউ নির্লজ্জ হয়ে পড়ে, তখন কিন্তু যৌনাচারে কোনো বাদ-বিচার করা সম্ভব হয় না, আর যারা সে পথে না যায়, তারা মানসিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে। তবে যে পথেই তারা যাক না কেন, রোগের শান্তি হয় না, অর্থাৎ কোনো কিছুতেই যৌনসুখের অাঁশ মেটে না। এক্ষেত্রে মূলসহ শুষ্ক ঘাস ২৫ গ্রাম ৫/৬ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে, সেটাকে দিনে ৩/৪ বারে সেবন করাতে হবে। তবে সেইসঙ্গে দুধ ও চিনি মিশিয়ে শরবতের মতো করে খাওয়ালে আরো ভালো হয়। দেহের কোথাও যদি মচকে গিয়ে কিংবা আঘাতজনিত কারণে ব্যথা হয় এবং ফুলে যায় অথচ কোনো হাড়গোড় ভেঙে যায়নি এবং রক্তপাতও ঘটেনি, এক্ষেত্রে লেমনগ্রাস অয়েল ১০ ফোঁটা করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে এবং ব্যথার স্থানে হালকাভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। ২/৩ দিনে ব্যথা কমে যাবে।
লেখা ও ছবি : শেখর রায়
যে কোনো জ্বরে নয়, পিত্তজ্বরে এটি ভালো কাজ করে। জ্বরের সঙ্গে শরীরে দাহ, পায়খানা হচ্ছে না, ক্ষুধা কম, পেটে অল্প-বিস্তর ব্যথাও আছে; অথচ এটি ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড জ্বর নয়। এক্ষেত্রে মূলসহ শুকনো ঘাস ২৫ গ্রাম নিয়ে ৫/৬ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে, ২ কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে, সেটিকে আধকাপ মাত্রায় সারাদিনে ৪ বারে খেতে হবে। এর ফলে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাবে এবং অন্যান্য উপসর্গগুলোও চলে যাবে। এভাবে ২-৩ দিন সেবন করা দরকার। অগি্নমান্দ্যে অর্থাৎ ক্ষুধা ভালো হচ্ছে না, দাস্তও পরিস্কার হয় না, মাঝেমধ্যে পেট ফাঁপে_ এক্ষেত্রে উপরোক্ত পদ্ধতিতে ক্কাথ তৈরি করে ১ সপ্তাহ খেলে ক্ষুধা বাড়তে আরম্ভ করবে। তারপর আরো কিছুদিন ওই মাত্রায় দিনে দুবার করে খেতে হবে। অর্থাৎ ১০-১২ গ্রাম মূলসহ শুকনো ঘাস ৩-৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে, সেটা দুবারে খেতে হবে। ক্রিমির উপদ্রবে- ছোট ছোট ক্রিমি অথবা কেঁচো ক্রিমি যেটিরই উপদ্রব হোক না কেন, মূলসহ শুকনো ঘাসের (১০/১২ গ্রাম) ক্কাথ উপরোক্ত পদ্ধতিতে তৈরি করে সকালে ও বিকালে দুবারে কয়েকদিন সেবন করলে এর উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কামজ উন্মাদে _এটা ছেলেমেয়েদের যৌবনের রোগ। তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এর শিকার বেশি হয়। ছেলেদের হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তখন যৌনাচারে কোনো বাদ-বিচার থাকে না। মেয়েদের হলে প্রাথমিক অবস্থায় চুপচাপ থাকে, যতক্ষণ সম্ভব নিজেকে সামলে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে, তারপর সামলাতে না পারলে ছেলেদের মতো কেউ কেউ নির্লজ্জ হয়ে পড়ে, তখন কিন্তু যৌনাচারে কোনো বাদ-বিচার করা সম্ভব হয় না, আর যারা সে পথে না যায়, তারা মানসিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে। তবে যে পথেই তারা যাক না কেন, রোগের শান্তি হয় না, অর্থাৎ কোনো কিছুতেই যৌনসুখের অাঁশ মেটে না। এক্ষেত্রে মূলসহ শুষ্ক ঘাস ২৫ গ্রাম ৫/৬ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে, সেটাকে দিনে ৩/৪ বারে সেবন করাতে হবে। তবে সেইসঙ্গে দুধ ও চিনি মিশিয়ে শরবতের মতো করে খাওয়ালে আরো ভালো হয়। দেহের কোথাও যদি মচকে গিয়ে কিংবা আঘাতজনিত কারণে ব্যথা হয় এবং ফুলে যায় অথচ কোনো হাড়গোড় ভেঙে যায়নি এবং রক্তপাতও ঘটেনি, এক্ষেত্রে লেমনগ্রাস অয়েল ১০ ফোঁটা করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে এবং ব্যথার স্থানে হালকাভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। ২/৩ দিনে ব্যথা কমে যাবে।
লেখা ও ছবি : শেখর রায়
লেমন গ্রাস
Reviewed by রেজওয়ান
on
8:59 AM
Rating:
লেমন ঘাস কিনতে পাবো কোথায়?
ReplyDeleteআমার কাছে আছে, 01722030502
Deleteকোথায় পাবো
ReplyDeleteআমার কাছে আছে, 01722030502
ReplyDelete