বাংলাদেশের অবহেলিত মূল্যবান তরু আমলকী। শুধু ভেষজ গুণে নয়, সৌন্দর্যেও সে সমাদরযোগ্য। প্রচলিত ফলের মধ্যে আমলকীতে ভিটামিন সি সবচেয়ে বেশি। এটি ছোট বা মাঝারি আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। এ গাছ ১০-২০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গাছের বাকল স্তরবিশিষ্ট। আমলকীর বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica officinalis। বৈজ্ঞানিক নামের প্রথমাংশ ফাইল্যান্থাস কচি পাতার কোমল সবুজের উচ্ছলতার প্রতীক (গ্রিক) ও ভেষজ গুণের রূপক এবং এম্বলিকা নামাংশ ভারতীয় আমলকীর লাতিন রূপায়ণ। শীতকালে আমলকীর পাতা ঝরে যায়। বিশ্বকবি লিখেছেন, ‘শীতের হাওয়ার লাগল নাচন,/ আমলকীর এই ডালে ডালে।/ পাতাগুলি শিরিশরিয়ে/ ঝরিয়ে দিল তালে তালে।’
আমলকীর জন্মস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। পাহাড়ের প্রায় এক হাজার ৫০০ মিটার উচ্চতায়ও এ গাছ জন্মে থাকে। পাতা পক্ষল ও যৌগিক। বোঁটার দুই পাশে চিরুনির দাঁতের মতো সাজানো থাকে। আমলকী ফুল একলৈঙ্গিক। পুরুষ ফুল বোঁটাযুক্ত। এ ফুল ডালের ওপরের দিকে ধরে, আগে আসে এবং সংখ্যায় অনেক বেশি। স্ত্রী ফুল বোঁটাহীন ও ডালের নিচের দিকে ধরে। ফুল আকারে খুবই ছোট, খালি চোখে দেখা কষ্টসাধ্য। স্ত্রী ও পুরুষ ফুল একই শাখায় প্রস্ফুটিত হয়। আমলকী বায়ুপরাগায়িত। এপ্রিল-মে মাসে ফুল ধরে। ফল মৃদু শিরাবিশিষ্ট, গোলাকৃতি, মাংসল ও রসাল। ফলের রং হালকা সবুজ বা হলুদ। ভেতরে ছয়টি বীজের সমষ্টির একটি কঠিন আঁটি থাকে। এ উপমহাদেশে আমলকীর বেনারসি জাতটি সবচেয়ে ভালো। ফল পাকে শীতকালে। ফলের প্রতি ১০০ গ্রামে ৮১ গ্রাম পানি, ০.৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ গ্রাম শ্বেতসার, ০.১ গ্রাম স্নেহ, ০.৭ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৩.৫ গ্রাম আঁশ, ০.০৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.০২ গ্রাম ফসফরাস, ১.৫ গ্রাম আয়রন, ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি এবং ১৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে। প্রতি ১০০ গ্রামে ৫৯ কিলোক্যালরি তাপশক্তি বিদ্যমান।
আমলকী প্রক্রিয়াজাত করলে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কমে যায়, তবে আমলকীর অ্যাসকরবিক এসিড স্থায়ী। কেননা, এটা ট্যানিন ও অ্যান্থোসায়ানিন দিয়ে আবৃত থাকায় সহজে অক্সিডেশন হয় না। নিষ্কাশিত ফলের রসের ভিটামিন এক সপ্তাহ পর্যন্ত অবিকৃত থাকে। একটু সচেতন হলে প্রতিটি বাড়িতে একটি আমলকীগাছ রোপণ করলে ভবিষ্যৎ বংশধরের জন্য ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস আমরা রেখে যেতে পারি। কাঁচা আমলকী খাওয়া হয়। আমলকীর জেলি, মোরব্বা বেশ সুস্বাদু। ফল ফালি করে কেটে রোদে শুকিয়ে লবণ, জোয়ান ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে মুখশুদ্ধি হিসেবে ব্যবহার হয়। আমলকীর ভেষজ গুণ অনেক। আমলকীর রস যকৃত, পেটের পীড়া, অজীর্ণ, হজমি ও কাশিতে বিশেষ উপকারী। আমলকীর পাতার রস আমাশয়ের প্রতিষেধক, এর বাকল থেকে রঞ্জক তৈরি হয়। এর কাঠ রক্তবর্ণ, দৃঢ়। এটির কাঠ কৃষির যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহার হয়। শুকনা ফল শ্যাম্পু, কলপ ও কালির উপাদান। শুকনা আমলকী তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখলে অল্প বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধ হয়। শুকনো ফল থেকে Phyllenblin(ethyl gallate) পৃথক করা যায়, তা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের হতাশায় কাজ করে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত গাছের extract lowdensity lipid কমায়। বীজ, শাখা কলম এবং জোড় কলম থেকে আমলকীর বংশবিস্তার করা যায়। প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক গাছ থেকে ২০০ কেজি ফল পাওয়া যায়।
আমলকীর জন্মস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। পাহাড়ের প্রায় এক হাজার ৫০০ মিটার উচ্চতায়ও এ গাছ জন্মে থাকে। পাতা পক্ষল ও যৌগিক। বোঁটার দুই পাশে চিরুনির দাঁতের মতো সাজানো থাকে। আমলকী ফুল একলৈঙ্গিক। পুরুষ ফুল বোঁটাযুক্ত। এ ফুল ডালের ওপরের দিকে ধরে, আগে আসে এবং সংখ্যায় অনেক বেশি। স্ত্রী ফুল বোঁটাহীন ও ডালের নিচের দিকে ধরে। ফুল আকারে খুবই ছোট, খালি চোখে দেখা কষ্টসাধ্য। স্ত্রী ও পুরুষ ফুল একই শাখায় প্রস্ফুটিত হয়। আমলকী বায়ুপরাগায়িত। এপ্রিল-মে মাসে ফুল ধরে। ফল মৃদু শিরাবিশিষ্ট, গোলাকৃতি, মাংসল ও রসাল। ফলের রং হালকা সবুজ বা হলুদ। ভেতরে ছয়টি বীজের সমষ্টির একটি কঠিন আঁটি থাকে। এ উপমহাদেশে আমলকীর বেনারসি জাতটি সবচেয়ে ভালো। ফল পাকে শীতকালে। ফলের প্রতি ১০০ গ্রামে ৮১ গ্রাম পানি, ০.৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ গ্রাম শ্বেতসার, ০.১ গ্রাম স্নেহ, ০.৭ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৩.৫ গ্রাম আঁশ, ০.০৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.০২ গ্রাম ফসফরাস, ১.৫ গ্রাম আয়রন, ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি এবং ১৪০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে। প্রতি ১০০ গ্রামে ৫৯ কিলোক্যালরি তাপশক্তি বিদ্যমান।
আমলকী প্রক্রিয়াজাত করলে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কমে যায়, তবে আমলকীর অ্যাসকরবিক এসিড স্থায়ী। কেননা, এটা ট্যানিন ও অ্যান্থোসায়ানিন দিয়ে আবৃত থাকায় সহজে অক্সিডেশন হয় না। নিষ্কাশিত ফলের রসের ভিটামিন এক সপ্তাহ পর্যন্ত অবিকৃত থাকে। একটু সচেতন হলে প্রতিটি বাড়িতে একটি আমলকীগাছ রোপণ করলে ভবিষ্যৎ বংশধরের জন্য ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস আমরা রেখে যেতে পারি। কাঁচা আমলকী খাওয়া হয়। আমলকীর জেলি, মোরব্বা বেশ সুস্বাদু। ফল ফালি করে কেটে রোদে শুকিয়ে লবণ, জোয়ান ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে মুখশুদ্ধি হিসেবে ব্যবহার হয়। আমলকীর ভেষজ গুণ অনেক। আমলকীর রস যকৃত, পেটের পীড়া, অজীর্ণ, হজমি ও কাশিতে বিশেষ উপকারী। আমলকীর পাতার রস আমাশয়ের প্রতিষেধক, এর বাকল থেকে রঞ্জক তৈরি হয়। এর কাঠ রক্তবর্ণ, দৃঢ়। এটির কাঠ কৃষির যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহার হয়। শুকনা ফল শ্যাম্পু, কলপ ও কালির উপাদান। শুকনা আমলকী তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মাখলে অল্প বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধ হয়। শুকনো ফল থেকে Phyllenblin(ethyl gallate) পৃথক করা যায়, তা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের হতাশায় কাজ করে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত গাছের extract lowdensity lipid কমায়। বীজ, শাখা কলম এবং জোড় কলম থেকে আমলকীর বংশবিস্তার করা যায়। প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক গাছ থেকে ২০০ কেজি ফল পাওয়া যায়।
আমলকি
Reviewed by রেজওয়ান
on
11:50 AM
Rating:
No comments: