লাল, গোলাপি, কমলা এবং সাদা রঙের অ্যাজালিয়া ফুল দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু গাছ তত আকর্ষণীয় নয়। জীর্ণশীর্ণ গাছে যে অমন বাহারি ফুল ফুটতে পারে, তা ফুল ফোটা অবস্থায় গাছটিকে না দেখলে বোঝা যায় না। এ জন্য এ ফুল ফুটলে তা গাছের চেয়ে ভালো দেখায়। গুচ্ছবদ্ধ হয়ে অনেকগুলো ফুল একত্রে কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ফুলদানিতে ভালো মানায়। সেদিক দিয়ে অ্যাজালিয়ার কদর রয়েছে। বিশেষ করে ক্রিসমাসের উত্সবের উপহারে অ্যাজালিয়ার জুড়ি মেলা ভার। অ্যাজালিয়া শীতের ফুল। কলকে বা চোঙার মতো কোনো কোনো জাতের ফুলে আছে নানা রঙের বৈচিত্র্য। গাছে ফুল থাকা অবস্থায় গোড়ার মাটি সব সময় ভেজা রাখতে হয়। টবে ও বাগানে অ্যাজালিয়া লাগানো যায়। শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো সব সময় তুলে ফেলতে হবে। শাখা কলম করে অ্যাজালিয়ার নতুন চারা তৈরি করা যায়। টবে লাগানো গাছ সংগ্রহ করতে পারলে এ শীতেই হয়তো আপনার বাগানে ফুটতে পারে অ্যাজালিয়া ফুল। তবে গাছ রাখতে হবে একটু ছায়া ছায়া জায়গায় এবং খুব যত্নে। হাজার হলেও এ দেশে নতুন অতিথি। খাপ খাইয়ে নিতে একটু সময় তো দিতে হবে। অ্যাজালিয়ার উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Rhododendron sp, পরিবার ইরিয়েসি। ফুলটি এসেছে চীন, তিব্বত বা জাপান থেকে।
অ্যাজালিয়া
Reviewed by রেজওয়ান
on
1:06 PM
Rating:
No comments: